Top Guidelines Of ড্রোন প্রযুক্তি, সামরিক ড্রোন, শক্তিশালী ড্রোন, ইরান ড্রোন, যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন, রাশিয়া ড্

১৯৮৮ সালে যথেষ্ট সমর্থন এবং রসদের অভাবে যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য হলেও যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ে ইরানের সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা নীতিতে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি, সব মিলিয়ে পরবর্তী দশকগুলোতে স্বনির্ভরতা ও যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ হয় ইরান।

গাজা নিয়ে যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা না থাকলে পদত্যাগের হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর১৯ মে ২০২৪

"এটা ঠিক কঠোরও না আবার নরমও না”, বলেন ওয়াশিংটন ভিত্তিক ফাউন্ডেশন ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসির সিনিয়র ডিরেক্টর ব্রাডলি বাউম্যান।

অনেকে বলেন ইরান যদি একবার কিছু একটা দেখার সুযোগ পায় এবং মনে করে তাদের জন্য এটা ভালো হতে পারে তাহলে সেটা তারা বানিয়ে ফেলতে পারে। “কয়েক বছর আগে আমেরিকার ড্রোন ভূপাতিত করার পর তারা ড্রোন বানাতে থাকে এবং এখন ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি তাদের প্রতিরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ড্রোন,” বলছিলেন ঘোবাদি।

গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, গোয়েন্দা নজরদারি, তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা যাবে এই ড্রোন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইরানের দখল নেয়। নাৎসি জার্মানির সাথে সুসম্পর্কের জেরে রেজা শাহকে সরিয়ে রাজার আসনে আনা হয় তার পুত্র মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে, যিনি শাসনকালের প্রায় পুরোটা সময় পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে সামরিক শক্তি অর্জন করেছে ইরান

ড্রোন বা মনুষ্যবিহীন আকাশযান এখন যুদ্ধের অন্যতম সেরা হাতিয়ার। বলা চলে, ড্রোন ছাড়া আধুনিক যুদ্ধ অচল। 

তেহরান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জুলাই মাসে তেহরানে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়েকে হত্যা এবং বৈরুতে হেজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হত্যার জবাব দিতে এ হামলা করেছে তারা।

ইরানের পক্ষ থেকে ২০১৯ সালে ইউএস গ্লোবাল হক ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করা হয়। এ ছাড়া ইসরাইলি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবিও করেছে দেশটি। যদিও ইসরাইল প্রকাশ্যে সেটি স্বীকার করেনি। মনে করা হয়, ইরানের ড্রোন, রকেট এবং স্বল্পপাল্লার মিসাইলের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অর্থাৎ ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক ও লেবাননে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে মার্কিন বাহিনী।

পশ্চিমাদের নজর ছিল ইরানের তেলের দিকে, সেই তেলের টাকায় ৬০ থেকে ৭০ দশকজুড়ে মূলত আমেরিকা থেকে বহু আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনা হয়। ইরানের শেষ শাহ বা রাজা মোহাম্মদ রেজা পাহলভি দেশকে আধুনিকায়ন করতে উদ্যোগ নিলেও জনবিচ্ছিন্নতা, একনায়কতন্ত্রএমন নানা প্রেক্ষাপটে বিপ্লবের সূচনা হয়। দাঙ্গা, ধর্মঘট আর বিক্ষোভের বাস্তবতায় দেশ ছেড়ে পালাতে হয় শাহ ও তার পরিবারকে। তবে তার অস্ত্র কেনা, সামরিক প্রশিক্ষণ, এমন নানা পদক্ষেপের কারণে ১৯৭৯ সালে বিপ্লবের সময় ইরানের বাহিনী ছিল সেঅঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর একটি।

সংস্থার ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে যে এই ড্রোনগুলি দূর নিয়ন্ত্রিত বিমান ব্যবস্থা বা ‘রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (আর পি more info এ স)।

২০২১ সালের জানুয়ারিতেও ইরান দুই দিনব্যাপী স্থানীয়ভাবে তৈরি ড্রোনের বড় একটি মহড়া চালায়। এসব ছিল ইরানের ড্রোন সক্ষমতা জানান দেওয়ার চেষ্টা।

সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সর্বশেষ ইউক্রেন যুদ্ধ ইরানি ড্রোনের বৈশ্বিক স্বীকৃতি দিয়েছে। কারণ রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশ এই ড্রোন ব্যবহার করায় ইরানের শক্তিমত্তার বিষয়টি মেনে নিচ্ছে বিশ্ব।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *